আজ ৮জুলাই শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথি। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় দেশব্যাপী বৌদ্ধ সম্প্রদায় এ দিবসটি পালন করছে প্রতিটি বিহারে। ধর্মীয় আবেশে, পুলকিত মনে বৌদ্ধ সম্প্রদায় বিহারে সমবেত হয়ে পঞ্চশীলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বুদ্ধপূজা উৎসর্গ করবে। কেউ কেউ অষ্টশীলও গ্রহণ করবেন। আজকের আষাঢ়ি পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধের যেই ঘটনাগুলো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ সেগুলো হলো- সিদ্ধার্থের মাতৃজঠরে প্রতিসন্ধি গ্রহণ, সিদ্ধার্থের গৃহত্যাগ, পঞ্চবর্গীয় শিষ্যদের নিকট ধর্মচক্র প্রবর্তন, ঋদ্ধি প্রদর্শন, মাতৃদেবীকে ধর্মোপদেশ দানে তাবতিংস স্বর্গে গমন এবং ভিক্ষুদের বর্ষাব্রত আরম্ভ।
ধর্মচক্র প্রবর্তন : সে দিন ছিল আজকের আষাঢ়ি পূর্ণিমা তিথি। মহাকারবণিক বুদ্ধ চিন্তায় নিমগ্ন হলেন এই ভেবে- আমার বহু জন্মের সাধনায় সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়গুলো এতই কঠিন যে, সহজে বোঝা সবার পক্ষে সম্ভব হবে না। কারণ এরা নানা বিষয়ে আত্মভোলা, পঞ্চকাম বিষয়ে তন্ময় ও তদগত। ভগবানের এ রকম দুশ্চিন্তার কথা মহাব্রহ্ম জ্ঞাত হয়ে ব্রহ্মলোক থেকে ভগবান সকাশে উপস্থিত হয়ে বললেন, যে মহামানব- আপনার দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনার দেশিত ধর্মের মর্মকথা বোঝার লোক ইহজগতে পাওয়া যাবে।
ভগবান আধ্যাত্মিক ধ্যানদৃষ্টি প্রাণী জগতের দিকে নিক্ষেপ করে প্রথমে ঋষি আলাড় কালামের বিষয়ে চিন্তা করলেন। ভগবানের দৃষ্টিতে আলাড় কালামের দেহত্যাগের ঘটনা স্পষ্ট হলো। বুদ্ধ এরপর চিন্তা করলেন রামপুত্র ঋষি রুদ্রকের কথা। তিনিও গতকাল কালোগত হয়েছেন। এরপর বুদ্ধের স্মৃতিপটে উদিত হলো সেই আগেকার পাঁচ শিষ্যের কথা। তিনি পাঁচ শিষ্যের সন্ধানে গয়া থেকে বারানসী যাত্রাপথে বুদ্ধের সাথে উপক নামক আজীবকের দেখা হলো। উপক দূর থেকে তথাগতের উপস্থিতি দেখে বললেন, বন্ধুবর- আপনার মুখচ্ছবি দেখে মনে হচ্ছে, আপনার হৃদয় আধ্যাত্মিক ধ্যানসম্পদে পরিপূর্ণ।
মহাকারবণিক বুদ্ধ মহাসংবেগ জড়িত কণ্ঠে তাঁর সাধনালব্ধ দুঃখমুক্তির মার্গ সম্বন্ধে দেশনা শুরু করলেন। পঞ্চবর্গীয় ভিক্ষুগণের উদ্দেশে বুদ্ধ বললেন- ‘হে ভিক্ষুগণ! নির্বাণকামী ব্রতচারী কখনো এই দুই অন্তে যাবে না। প্রথম অন্ত হচ্ছে- কামাপভোগ সুখ আছে, এরূপ কামে সুখোদ্রেকের প্রতি অনুরক্ত হওয়া। এটি অত্যন্ত হীন, ইতরজন সেব্য, অনার্য ও অনর্থকর। দ্বিতীয় অন্তটি হচ্ছে- আত্মনিগ্রহে অনুরোক্তি, অর্থাৎ পারলৌকিক সুখের আশায় শরীরকে কষ্ট দেয়া। এটাও দুঃখদায়ক, নিকৃষ্ট ও অনর্থক। এই অন্তে না গিয়ে তথাগত এমন একটি মধ্যম পথ আবিষ্কার করেছেন, যা জ্ঞানচক্ষু উৎপন্ন করে, যা উপশম, প্রজ্ঞা, নির্বাণের হেতু হয়। আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ হলো সেই ‘মধ্যম পথ’।
সত্য কথা, প্রিয় ও মিতভাষণের মাধ্যমে মানুষে মানুষে মৈত্রী সৃষ্টি হয়। এতে করে সমাজের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হয়। এটাই ‘সম্যক বাক্য’। প্রাণী হত্যা, চুরি, ব্যভিচার না করে লোকের কল্যাণকর কাজই হলো ‘সম্যক কর্ম’। সৎ উপায়ে জীবিকা অর্জন হলো ‘সম্যক আজীব’, যে জীবিকায় অপরের ক্ষতি হয় না, সে রূপ জীবিকাই সম্যক আজীব। অন্যায়ভাবে ব্যবসায় করা, নেশাজাতীয় দ্রব্য, বাণিজ্য ও অস্ত্র ব্যবসায় হলো মানবজাতির চরম ক্ষতির পরিচায়ক। এতে সমাজের প্রভূত ক্ষতির পাশাপাশি জনজীবন অস্থির কাল যাপন করে। এ ধরনের কার্যকারণ থেকে বিরত, সৎ উপায়ে জীবিকা অর্জন করাই হলো উত্তম পথ। অনুৎপন্ন খারাপ চিন্তা মনে উৎপন্ন হওয়া ভালো নয়। এতে কোনো কাজে সফলতা আসে না। অন্যের ক্ষতির দিক বেড়ে যায়, সবাই থাকে উৎকণ্ঠায়। অনুৎপন্ন ভালো চিন্তা উৎপন্ন করার এবং উৎপন্ন ভালো চিন্তা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করতে হবে। এটাই ‘সম্যক ব্যায়াম’।
বুদ্ধ বললেন, হে ভিক্ষুগণ, এই ক্ষণভঙ্গুর দেহ কতগুলো অপবিত্র পদার্থের সুশৃঙ্খল সমাবেশ ছাড়া আর কিছু নয়। এ সত্য হৃদয়ঙ্গম করে দেহের সুখ-দুঃখাদি বেদনার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত। স্পন্দনশীল ও চঞ্চল চিত্তের গতিবিধির প্রতি লক্ষ রেখে ইন্দ্রিয়াদি থেকে যেসব বন্ধন উৎপন্ন হয়, সেগুলো বিনাশ করার চিন্তা সতত জাগরূক রাখতে হবে। এটাই ‘সম্যক স্মৃতি’। নিজের শরীরের ওপর, মৃতদেহের ওপর মৈত্রী, করুণা প্রভৃতি মনোবৃত্তির ওপর কিংবা পৃথিবী, জল, তেজ ইত্যাদি পদার্থের ওপর চিত্ত একাগ্র করে চারটি ধ্যান সম্পাদন করা সবার নৈতিক দায়িত্ব এবং অবশ্যকর্তব্য। এটাই ‘সম্যক সমাধি’। অতঃপর তিনি প্রতীত্য সমুৎপাদ নীতি ব্যাখ্যা করলেন।
বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধত্ব লাভের ঠিক দুই মাস পরে পবিত্র আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথিতে ঋষিপতন মৃগদাবের মনোরম তপোবনে তথাগত বুদ্ধ ধর্মচক্র প্রবর্তন করলেন। পরে চারজন ভিক্ষু বুদ্ধের ধর্মতত্ত্ব বুঝতে পেরে বুদ্ধের অনুসারী হলেন। বুদ্ধ তাঁদের প্রব্রজ্যা ও উপসম্পদা দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত করলেন। তখন বুদ্ধ নিজেসহ পৃথিবীতে অরহতের সংখ্যা হলো ‘ছয়জন’।
আমরা জানি, ধর্ম মানেই সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের একটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা। অশান্ত পৃথিবীকে শান্ত করতে বুদ্ধবাণী পালনের পাশাপাশি মানবজাতিকে আরো সচেতন হতে হবে। ধর্ম পালনে আমরা দিন দিন পিছিয়ে পড়ছি, হারিয়ে ফেলছি মমত্ববোধ, জড়িয়ে যাচ্ছি নানা কলহে। একটিবারও আমরা চিন্তা করি না কিভাবে সমাজে শান্তি ফিরে আসবে, দেশ লাভ করবে সমৃদ্ধি- এ কথা।
যারা ধর্মীয় বিধান মতে জীবনযাপন করে, তারা হয়তো সাময়িক অসুবিধা ভোগ করতে পারে। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে তারাই সুখী মানুষ।
অতি লোভে যেমন তাঁতি নষ্ট তেমনি আমরা নানা লোভের বশবর্তী হয়ে পরোক্ষভাবে সমাজের চরম ক্ষতি করে যাচ্ছি। পরবর্তীকালে এর কুফল ভোগ করবে আমাদেরই বংশধরেরা। যারা ধর্মীয় অনুশাসনে রয়েছে, তাদেরও উচিত হবে সাধারণেরা যেন ধর্মের প্রতি আস্থা হারিয়ে না ফেলে, সেভাবে নিজ কর্তব্যকর্ম সম্পাদনের সচেষ্ট থাকতে হবে। ধর্মীয় বিধিবিধান মতো আমরা জীবন যাপন করছি না বলে বিপত্তি আমাদের ছাড়ছে না। আজকের এই পূর্ণিমার শুভ তিথিতে আসুন না ওপরে উল্লিখিত বুদ্ধের বিধানগুলো হৃদয়ঙ্গম করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সবাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করি।
লেখক : সাংবাদিক
ধর্মচক্র প্রবর্তন : সে দিন ছিল আজকের আষাঢ়ি পূর্ণিমা তিথি। মহাকারবণিক বুদ্ধ চিন্তায় নিমগ্ন হলেন এই ভেবে- আমার বহু জন্মের সাধনায় সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়গুলো এতই কঠিন যে, সহজে বোঝা সবার পক্ষে সম্ভব হবে না। কারণ এরা নানা বিষয়ে আত্মভোলা, পঞ্চকাম বিষয়ে তন্ময় ও তদগত। ভগবানের এ রকম দুশ্চিন্তার কথা মহাব্রহ্ম জ্ঞাত হয়ে ব্রহ্মলোক থেকে ভগবান সকাশে উপস্থিত হয়ে বললেন, যে মহামানব- আপনার দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনার দেশিত ধর্মের মর্মকথা বোঝার লোক ইহজগতে পাওয়া যাবে।
ভগবান আধ্যাত্মিক ধ্যানদৃষ্টি প্রাণী জগতের দিকে নিক্ষেপ করে প্রথমে ঋষি আলাড় কালামের বিষয়ে চিন্তা করলেন। ভগবানের দৃষ্টিতে আলাড় কালামের দেহত্যাগের ঘটনা স্পষ্ট হলো। বুদ্ধ এরপর চিন্তা করলেন রামপুত্র ঋষি রুদ্রকের কথা। তিনিও গতকাল কালোগত হয়েছেন। এরপর বুদ্ধের স্মৃতিপটে উদিত হলো সেই আগেকার পাঁচ শিষ্যের কথা। তিনি পাঁচ শিষ্যের সন্ধানে গয়া থেকে বারানসী যাত্রাপথে বুদ্ধের সাথে উপক নামক আজীবকের দেখা হলো। উপক দূর থেকে তথাগতের উপস্থিতি দেখে বললেন, বন্ধুবর- আপনার মুখচ্ছবি দেখে মনে হচ্ছে, আপনার হৃদয় আধ্যাত্মিক ধ্যানসম্পদে পরিপূর্ণ।
মহাকারবণিক বুদ্ধ মহাসংবেগ জড়িত কণ্ঠে তাঁর সাধনালব্ধ দুঃখমুক্তির মার্গ সম্বন্ধে দেশনা শুরু করলেন। পঞ্চবর্গীয় ভিক্ষুগণের উদ্দেশে বুদ্ধ বললেন- ‘হে ভিক্ষুগণ! নির্বাণকামী ব্রতচারী কখনো এই দুই অন্তে যাবে না। প্রথম অন্ত হচ্ছে- কামাপভোগ সুখ আছে, এরূপ কামে সুখোদ্রেকের প্রতি অনুরক্ত হওয়া। এটি অত্যন্ত হীন, ইতরজন সেব্য, অনার্য ও অনর্থকর। দ্বিতীয় অন্তটি হচ্ছে- আত্মনিগ্রহে অনুরোক্তি, অর্থাৎ পারলৌকিক সুখের আশায় শরীরকে কষ্ট দেয়া। এটাও দুঃখদায়ক, নিকৃষ্ট ও অনর্থক। এই অন্তে না গিয়ে তথাগত এমন একটি মধ্যম পথ আবিষ্কার করেছেন, যা জ্ঞানচক্ষু উৎপন্ন করে, যা উপশম, প্রজ্ঞা, নির্বাণের হেতু হয়। আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ হলো সেই ‘মধ্যম পথ’।
সত্য কথা, প্রিয় ও মিতভাষণের মাধ্যমে মানুষে মানুষে মৈত্রী সৃষ্টি হয়। এতে করে সমাজের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হয়। এটাই ‘সম্যক বাক্য’। প্রাণী হত্যা, চুরি, ব্যভিচার না করে লোকের কল্যাণকর কাজই হলো ‘সম্যক কর্ম’। সৎ উপায়ে জীবিকা অর্জন হলো ‘সম্যক আজীব’, যে জীবিকায় অপরের ক্ষতি হয় না, সে রূপ জীবিকাই সম্যক আজীব। অন্যায়ভাবে ব্যবসায় করা, নেশাজাতীয় দ্রব্য, বাণিজ্য ও অস্ত্র ব্যবসায় হলো মানবজাতির চরম ক্ষতির পরিচায়ক। এতে সমাজের প্রভূত ক্ষতির পাশাপাশি জনজীবন অস্থির কাল যাপন করে। এ ধরনের কার্যকারণ থেকে বিরত, সৎ উপায়ে জীবিকা অর্জন করাই হলো উত্তম পথ। অনুৎপন্ন খারাপ চিন্তা মনে উৎপন্ন হওয়া ভালো নয়। এতে কোনো কাজে সফলতা আসে না। অন্যের ক্ষতির দিক বেড়ে যায়, সবাই থাকে উৎকণ্ঠায়। অনুৎপন্ন ভালো চিন্তা উৎপন্ন করার এবং উৎপন্ন ভালো চিন্তা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করতে হবে। এটাই ‘সম্যক ব্যায়াম’।
বুদ্ধ বললেন, হে ভিক্ষুগণ, এই ক্ষণভঙ্গুর দেহ কতগুলো অপবিত্র পদার্থের সুশৃঙ্খল সমাবেশ ছাড়া আর কিছু নয়। এ সত্য হৃদয়ঙ্গম করে দেহের সুখ-দুঃখাদি বেদনার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত। স্পন্দনশীল ও চঞ্চল চিত্তের গতিবিধির প্রতি লক্ষ রেখে ইন্দ্রিয়াদি থেকে যেসব বন্ধন উৎপন্ন হয়, সেগুলো বিনাশ করার চিন্তা সতত জাগরূক রাখতে হবে। এটাই ‘সম্যক স্মৃতি’। নিজের শরীরের ওপর, মৃতদেহের ওপর মৈত্রী, করুণা প্রভৃতি মনোবৃত্তির ওপর কিংবা পৃথিবী, জল, তেজ ইত্যাদি পদার্থের ওপর চিত্ত একাগ্র করে চারটি ধ্যান সম্পাদন করা সবার নৈতিক দায়িত্ব এবং অবশ্যকর্তব্য। এটাই ‘সম্যক সমাধি’। অতঃপর তিনি প্রতীত্য সমুৎপাদ নীতি ব্যাখ্যা করলেন।
বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধত্ব লাভের ঠিক দুই মাস পরে পবিত্র আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথিতে ঋষিপতন মৃগদাবের মনোরম তপোবনে তথাগত বুদ্ধ ধর্মচক্র প্রবর্তন করলেন। পরে চারজন ভিক্ষু বুদ্ধের ধর্মতত্ত্ব বুঝতে পেরে বুদ্ধের অনুসারী হলেন। বুদ্ধ তাঁদের প্রব্রজ্যা ও উপসম্পদা দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত করলেন। তখন বুদ্ধ নিজেসহ পৃথিবীতে অরহতের সংখ্যা হলো ‘ছয়জন’।
আমরা জানি, ধর্ম মানেই সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের একটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা। অশান্ত পৃথিবীকে শান্ত করতে বুদ্ধবাণী পালনের পাশাপাশি মানবজাতিকে আরো সচেতন হতে হবে। ধর্ম পালনে আমরা দিন দিন পিছিয়ে পড়ছি, হারিয়ে ফেলছি মমত্ববোধ, জড়িয়ে যাচ্ছি নানা কলহে। একটিবারও আমরা চিন্তা করি না কিভাবে সমাজে শান্তি ফিরে আসবে, দেশ লাভ করবে সমৃদ্ধি- এ কথা।
যারা ধর্মীয় বিধান মতে জীবনযাপন করে, তারা হয়তো সাময়িক অসুবিধা ভোগ করতে পারে। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে তারাই সুখী মানুষ।
অতি লোভে যেমন তাঁতি নষ্ট তেমনি আমরা নানা লোভের বশবর্তী হয়ে পরোক্ষভাবে সমাজের চরম ক্ষতি করে যাচ্ছি। পরবর্তীকালে এর কুফল ভোগ করবে আমাদেরই বংশধরেরা। যারা ধর্মীয় অনুশাসনে রয়েছে, তাদেরও উচিত হবে সাধারণেরা যেন ধর্মের প্রতি আস্থা হারিয়ে না ফেলে, সেভাবে নিজ কর্তব্যকর্ম সম্পাদনের সচেষ্ট থাকতে হবে। ধর্মীয় বিধিবিধান মতো আমরা জীবন যাপন করছি না বলে বিপত্তি আমাদের ছাড়ছে না। আজকের এই পূর্ণিমার শুভ তিথিতে আসুন না ওপরে উল্লিখিত বুদ্ধের বিধানগুলো হৃদয়ঙ্গম করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সবাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করি।
লেখক : সাংবাদিক
সংগ্রহেঃহিল ভয়েস
সূত্রঃশতদল বড়ুয়া,দৈনিক নয়া দিগন্ত।