Monday, March 27, 2017
Home »
» আজকে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের আপডেট খবর
আজকে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের আপডেট খবর
.
.
ঘটনা ১| প্রতিদিনের ন্যায় উক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা যার যার মত কলেজে গিয়েছিল। যাদের ক্লাস চলছিল তারা ক্লাসে ছিল এবং যাদের ক্লাস চলছিল না তারা কলেজ ক্যাম্পাসে আড্ডা দিচ্ছিল এবং নানা বিষয়ে আলাপ করছিল। তখন ঠিক নয়টার দিকে "জনি দে ও পলাশ বড়ুয়া (উভয়েই ইন্টার প্রথম বর্ষ,মানবিক বিভাগ)'র নেতৃত্বে চার-পাঁচজন সেটেলার বাঙ্গালি ছাত্র সন্ত্রাসীদের এজেন্ট মিলে পূর্ব ঘটনার জেরে সোনাক্ক্যি চাকমা নামের এক নিরীহ ছাত্রকে মারধর করে। এতে পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের মাঝে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাসে তাদেরকে ধাওয়া করা হয় হয় এবং সবাই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে জনি দে নামক ছেলেটিকে ধরে সুষ্ঠ বিচারের জন্য প্রিন্সিপালের রুমে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাঙ্গালি ছাত্ররা সন্ত্রাসী কায়দায় কেড়ে নিতে চেষ্টা করে এতে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয় এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।পরে বিষয়টি জানাজানি হলে কলেজ প্রশাসন পুলিশকে খবর দিয়ে বিষয়টি আমলে নিয়ে জনি দে এবং ভিক্টিমসহ তাদের অভিবাবকদের নিয়ে প্রিন্সিপালের রুমে বিচার কার্য চলতে থাকে। তখনও কলেজের ক্যাম্পাসে টান টান পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।
.
ঘটনা ২| এমন সময় মো:মাসুম নামের এক উগ্র বাঙ্গালি ছাত্র সন্ত্রাসীর নেতা তাঁর দলবল ও আর্মিদের এফআই নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এবং এ অমুক,এ সমুক বলে দেখিয়ে দেয়। এতে উত্তেজনা আরো বেরে যায়। পরে মো: সেটেলার মাসুম কলেজের নোটিস বোর্ডের গেইটের বাইরের বেঞ্চে বসে থাকা পাহাড়ি শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাসের রুমে ঢুকতে নির্দেশ দেয়,কিন্তু পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করে___আমরা ক্লাসে ঢুকি কিংবা বাইরে থাকি তাতে আপনার কি? এতে সে রাগ করে তার সন্ত্রাসী সঙ্গীদেরকে পাহাড়ি শিক্ষার্থী দেরকে গলা ধাক্কা দিয়ে রুমে ঢুকিয়ে দিতে নির্দেশ দেয় এবং দুই পাহাড়ি শিক্ষার্থীরে গলা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকতে বলে। তবুও পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা জায়গা ত্যাগ না করলে মো: সেটেলার মাসুম পাহাড়ি শিক্ষার্থীদেরকে মাদারচোদের জাত,কুত্তার বাচ্চা বলে গালিয়ে দিয়ে তোদেরকে ডাইরেক কোপাবো বলে হুমকি দিয়ে তার সন্ত্রাসী দলবল দেরকে কলেজ গেইটের বাইরে থেকে সব মাল-দা-কিরিচ নিয়ে নিয়ে আসতে বললে পাহাড়ি শিক্ষার্থী রাগে ফেটে পড়ে এবং চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং মাসুম সহ তার দলের সন্ত্রাসীদেরকে উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত হলে পুলিশ এসে মাসুমকে উদ্ধার করে পাহাড়ি ছাত্রদেরকে শান্ত থাকতে আহ্বান করে এবং উপযুক্ত বিচার করবে বলে আশ্বাস দেয়। কিন্তু মাসুম সব পাহাড়ি শিক্ষার্থীদেরকে মাদারচোদ বলে গালি দেওয়ার কারনে তখনও পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে গেলে সদর থানার ওসিসহ অতিরিক্ত পুলিশ ফোস এসে পাহাড়ি ছাত্রদের ধাওয়ার করার চেষ্টা করে,কিন্তু উৎসুক ছাত্র জনতা পিছু হাটেনি,পরে পুলিশ প্রশাসন বাধ্য হয়ে পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসার আহ্বান জানায় এবং দু'জন ছাত্র প্রতিনিধিকে অধ্যক্ষের রুমে ডেকে নিয়ে যায়।সেখানে কলেজ প্রশাসন সহ পুলিশের ওসি আলোচনায় বসে। ছাত্র প্রতিনিধির একজন মাসুমের কর্মকান্ডের সম্পর্কে বিস্তারিত খুলে বলে। সেখানে পুলিশ প্রশাসন,কলেশ প্রশাসন সহ ছাত্র প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসে।
.
ঘটনা ৩| ঠিক সে সময় বাইরে থেকে বহিরাগত সেটেলার সন্ত্রাসী কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমন করলে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে চলে যায় এবং প্রিন্সিপাল রুমে চলা আলোচনা শেষ না করেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ওসি,কলেজ প্রশাসন সহ ছাত্র প্রতিনিধিরা বাইরে এসে পরিস্থিত শান্ত করার চেষ্টা করলেও তখন পরিস্থিতি আসলে নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। বহিরাগ বাঙ্গালিরা ক্যাম্পাসে ঢুকে এবং নিরীহ পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কলেজ ক্যাম্পাসে চলতে থাকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। সেসময় সেটেলার বাঙ্গালি সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠনের কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পালিয়ে যাওয়ার সময় দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেয়ে মাথা ফেটে যায়। পরে বহিরাগতরা মিলে কলেজের দক্ষিন গেইটের দিকে ঢুকে পাহাড়ি শিক্ষার্থীদেরকে ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। কিন্তু নিরীহ পাহাড়ি শিক্ষার্থীরাও ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে ক্যাম্পাসের বাইরে বের করে দেয়। কিছুক্ষন চলে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। কলেজের ঘটনাটি বহিরাগত সেটেলার বাঙ্গালীরা সাম্প্রদায়িক রুপ দেওয়ার চেষ্টা করলে পুরা এলাকাজুড়ে গনজোয়াড় পড়ে যায়। পরে সেনাবাহিনীর ৭-৮ গাড়ি কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে কলেজ প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন,এডিসি ও পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের নিয়ে কলেজের মাঠে আলোচনায় বসে। এসময় সেনাবাহিনীদের হাতে লাঠি,ক্রিকেটের স্টাম্প ও তাদের বন্দুক পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের দিকে টাক করলে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা বলে__আমাদের কলেজে এসে সেনাবাহিনীর এহেন মারমুখী পোজ আমরা মানবোনা,শুরু হয় সেনাবাহিনী ও পুলিশের সাথে কথা কাটাকাটি। এবং উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে স্বয়ং আর্মির সিও কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে মাঠে আলোচনায় বসে।
.
.
ঘটনা ৪| আলোচনার এক পর্যায়ে আর্মির সিও বলেন__পাহাড়ি কিংবা বাঙ্গালি সবাই বাংলাদেশের ছাত্র এদেশের নাগরিক। পরে তিনি ছাত্রদেরকে মামলার ভয় দেখিয়ে বলেন,তোমরা যদি কেউ মামলা খাও,তাহলে অনেক ক্ষতি,যেমন__লেখাপড়া-আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। তখনও ছাত্ররা চুপ ছিল। কিন্তু সিও সাহেব একপর্যায়ে যখন বললেন___আমরা সবাই বাংলাদেশী,আমরা সবাই বাঙ্গালি। এই "আমরা সবাই বাঙ্গালি" কথাটি শুনে উপস্থিত শত শত পাহাড়ি ছাত্রজনতা উঠে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করে__আমাদের জাতীয়তা বাংলাদেশী হতে পারি কিন্তু জাতি হিসাবে বাঙ্গালী নয়। শুরু হয় উত্তেজনা। পরে তিনি চুপ হয়ে গেলেন। তবে কলেজ প্রশাসন পরিস্থিতি উপলব্দি করে ছাত্রদেরকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করেন।
.
.
ঘটনা ৫| আলোচনার এক পর্যায়ে বহিরাগত সেটেলার বাঙ্গালিরা উপালি পাড়ার দিকে ঢুকতে চাইলে স্থানীয় উপালিপাড়া,খবংপড়িয়া ও নারাংহিয়ার ছাত্র-যুবকরা মিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং প্রায় ২০ মিনিট ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে মাঝখানে ঢুকে উভয়কে তাড়িয়ে দেয়। সেসময় পরিস্থিতি সাম্প্রদায়িকের দিকে অগ্রসর হলে আলোচনা সমাপ্ত না করেই কলেজ মাঠ থেকে পাহাড়ি শিক্ষার্থীদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যেতে বলে এবং পুলিশ প্রশাসন ব্যাড়িকেড দিয়ে উপালি পাহাড় রোড পর্যন্ত পাহাড়ি শিক্ষার্থীদেরকে পৌঁছে দিয়ে কোন প্রকার ঝামেলায় না জড়াতে অনুরোধ করে।
.
.
ঘটনা ৬| পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা উপালি পাড়ার রোড দিয়ে সবাই নিজ নিজ বাসায় যেতে লাগল। ঠিক তখনই উপালি পাড়ার বৌদ্ধ বিহারের কাছে পৌঁছলে সেখানে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা সেনাবাহিনীর একটি টিম পাহাড়ি শিক্ষার্থী একজন আমাদের ভিডিও করছে বলে অভিযোগ করে পেছনে থাকা এক ছাত্রকে ধরে নিয়ে যেতে চেষ্টা করলে ছাত্ররা ধর ধর বলে এক চিৎকার দিয়ে সবাই সেনাবাহিনীদের সামনে এসে হাজির হয় এবং উক্ত ছাত্রকে তাদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এসময় সেনাবাহিনীরা আর সামনে এগোয়নি ছাত্রদের প্রতিরোধের মুখে। এর পর বিকালের দিকে সেটেলার বাঙ্গালীরা বিচ্ছিন্ন ভাবে বাড়ীতে ফেরা খাগড়াছড়ি বাস টার্মিনালে একজন ও চেঙ্গী স্কোয়াড়ে একজন ও উপজেলায় একজন সহ মোট তিনজন নিরীহ পাহাড়ি ছাত্রদেরকে মারধর করে এবং বর্তমানে তারা খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
courtesy-Shuvashish Chakma
তথ্যসূত্রঃDamrasing marma টাইমলাইন থেকে
0 comments:
Post a Comment